১) অবকাঠামোর সীমাবদ্ধতা
দেশের নেটওয়ার্ক এখনো মূলত 4G নির্ভর। 5G–র পূর্ণাঙ্গ অবকাঠামো ও অপ্টিমাইজেশন না থাকায় স্পিড সর্বত্র স্থিতিশীল হয় না।
২) ব্যবহারকারীর অতিরিক্ত চাপ (Network Congestion)
সন্ধ্যা ও রাতে একই সময়ে বিপুল ব্যবহারকারী অনলাইনে থাকেন। সেলে ইউজার বেশি হলে ব্যান্ডউইথ ভাগ হয়ে গতি কমে যায়।
৩) স্পেকট্রাম সংকট
অপারেটররা পর্যাপ্ত স্পেকট্রাম না পেলে বা ব্যয়বহুল হলে কভারেজ ও ক্যাপাসিটি সীমিত থাকে—ফলাফল ধীরগতি।
৪) টাওয়ার ঘনত্ব ও ব্যাকহল দুর্বলতা
- শহরের বাইরে অনেক এলাকায় টাওয়ার ঘনত্ব কম
- মাইক্রোওয়েভ/ফাইবার ব্যাকহল দুর্বল হলে সাইটের থ্রুপুট পড়ে যায়
৫) আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথ ও রাউটিং ইস্যু
সাবমেরিন কেবল বা আপস্ট্রিমে সমস্যা হলে সারা দেশে স্পিড কমে যেতে পারে। রাউটিং অপ্টিমাইজড না হলে লেটেন্সি বেড়ে যায়।
৬) ডিভাইস ও সেটিংস সমস্যাও কারণ
- পুরোনো ফোন/মডেম ক্যাটেগরি (Cat 4/6) হলে সর্বোচ্চ স্পিড পাওয়া যায় না
- ভুল APN, ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ, VPN—সবই গতি কমায়
সমাধান কী হতে পারে?
- অপারেটর স্তর: বেশি স্পেকট্রাম, আরো টাওয়ার, ফাইবার ব্যাকহল বিস্তার, কোর নেটওয়ার্ক অপ্টিমাইজেশন
- নীতি স্তর: স্পেকট্রাম নিলামে নমনীয়তা, গ্রামীণ কভারেজে ইনসেনটিভ
- ব্যবহারকারী স্তর: 4G/5G সাপোর্টেড ডিভাইস, সঠিক APN, ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ/ভিপিএন সীমিত রাখা
সারকথা: ধীরগতির পেছনে একাধিক কারণ একসাথে কাজ করে—অবকাঠামো, স্পেকট্রাম, ব্যাকহল ও ব্যবহারকারী আচরণ। ধাপে ধাপে উন্নয়ন হলে গতি ও স্থিতিশীলতা দুটোই বাড়বে।