বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেট ধীর হওয়ার আসল কারণ | Slow Internet in Bangladesh

বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেট ধীর হওয়ার আসল কারণ

দেশে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার দ্রুত বাড়লেও ধীরগতির সমস্যা রয়ে গেছে। কেন এমন হয়, কোন জায়গাগুলোতে সীমাবদ্ধতা—সবকিছু সহজ ভাষায় জানুন।

বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। কিন্তু অধিকাংশ ব্যবহারকারী ধীরগতির ইন্টারনেট সমস্যায় ভোগেন। আসল কারণগুলো একেকটি করে দেখি।

১) অবকাঠামোর সীমাবদ্ধতা

দেশের নেটওয়ার্ক এখনো মূলত 4G নির্ভর। 5G–র পূর্ণাঙ্গ অবকাঠামো ও অপ্টিমাইজেশন না থাকায় স্পিড সর্বত্র স্থিতিশীল হয় না।

২) ব্যবহারকারীর অতিরিক্ত চাপ (Network Congestion)

সন্ধ্যা ও রাতে একই সময়ে বিপুল ব্যবহারকারী অনলাইনে থাকেন। সেলে ইউজার বেশি হলে ব্যান্ডউইথ ভাগ হয়ে গতি কমে যায়।

৩) স্পেকট্রাম সংকট

অপারেটররা পর্যাপ্ত স্পেকট্রাম না পেলে বা ব্যয়বহুল হলে কভারেজ ও ক্যাপাসিটি সীমিত থাকে—ফলাফল ধীরগতি।

৪) টাওয়ার ঘনত্ব ও ব্যাকহল দুর্বলতা

  • শহরের বাইরে অনেক এলাকায় টাওয়ার ঘনত্ব কম
  • মাইক্রোওয়েভ/ফাইবার ব্যাকহল দুর্বল হলে সাইটের থ্রুপুট পড়ে যায়

৫) আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথ ও রাউটিং ইস্যু

সাবমেরিন কেবল বা আপস্ট্রিমে সমস্যা হলে সারা দেশে স্পিড কমে যেতে পারে। রাউটিং অপ্টিমাইজড না হলে লেটেন্সি বেড়ে যায়।

৬) ডিভাইস ও সেটিংস সমস্যাও কারণ

  • পুরোনো ফোন/মডেম ক্যাটেগরি (Cat 4/6) হলে সর্বোচ্চ স্পিড পাওয়া যায় না
  • ভুল APN, ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ, VPN—সবই গতি কমায়

সমাধান কী হতে পারে?

  1. অপারেটর স্তর: বেশি স্পেকট্রাম, আরো টাওয়ার, ফাইবার ব্যাকহল বিস্তার, কোর নেটওয়ার্ক অপ্টিমাইজেশন
  2. নীতি স্তর: স্পেকট্রাম নিলামে নমনীয়তা, গ্রামীণ কভারেজে ইনসেনটিভ
  3. ব্যবহারকারী স্তর: 4G/5G সাপোর্টেড ডিভাইস, সঠিক APN, ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ/ভিপিএন সীমিত রাখা
সারকথা: ধীরগতির পেছনে একাধিক কারণ একসাথে কাজ করে—অবকাঠামো, স্পেকট্রাম, ব্যাকহল ও ব্যবহারকারী আচরণ। ধাপে ধাপে উন্নয়ন হলে গতি ও স্থিতিশীলতা দুটোই বাড়বে।
Previous Post